ছবি: অন্তর্জাল
আগেকার দিনে রান্নাঘরে স্টিল বা লোহার কড়াই এর ব্যবহার ছিল বেশি। তবে বর্তমান সময়ে রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছে ননস্টিকের বাসনপত্র। স্টিলের বাসন মাজা ঘষার ঝামেলা এড়াতে কাচের বাসনও ঠাঁই পেয়েছে বাঙালির খাবার টেবিলে।
কিন্তু সমস্যা হলো, ননস্টিকের রান্নার পাত্র হোক বা কাচের বাসন, তা ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি জানতে হবে। না হলে অল্প দিনেই সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে বা দাগছোপ পড়ে যাবে। বাসন চকচকে রাখতে গিয়ে এমন যেসব ভুল হয় যাতে খুব তাড়াতাড়ি ননস্টিকের বাসনের ওপরের পরত উঠে যায় বা কাচের বাসনে দাগ পড়ে যায়। কী কী সেই সব ভুল জেনে রাখা ভালো।
১. গরম পানিতে কখনো বাসন ধোবেন না। অনেকেই মনে করেন, দ্রুত তেলমসলার দাগ তুলতে গরম পানিই ভালো। কিন্তু বেশি গরম পানি বাসনে ঢাললে তা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি গরম পানি হাতে লাগতে লাগতে, ত্বকও শুষ্ক ও খসখসে হয়ে উঠবে।
২. বাসন চকচকে করতে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। বাসন মাজার তরল সাবান সামান্যই লাগে। তাতেই বাসন ভালো পরিষ্কার হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সাবান রোজ ব্যবহার করতে থাকলে বাসন দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। মনে রাখবেন, তারের জালি দিয়ে ঘষে ঘষে ননস্টিকের প্যান মাজবেন না। তাহলে উপরের পরত উঠে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। নরম স্পঞ্জ বা কাপড় দিয়েই এই ধরনের বাসন মাজতে হবে।
৩. নোংরা স্পঞ্জ দিয়ে বাসন মাজেন না তো? কাচের বাসন হোক বা ননস্টিকের, সব সময়ে পরিষ্কার স্পঞ্জ দিয়ে বাসন ধুতে হবে। পুরনো স্পঞ্জ নোংরা হয়ে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে, তা আর ব্যবহার করবেন না।
৪. তেলমসলা বা খাবারের উচ্ছিষ্টসহ বাসনপত্র রান্নাঘরের বেসিনে রেখে দিলে, সেখানে ব্যাক্টেরিয়ার উৎপাত হবেই। বিভিন্ন রকম জীবাণুও জন্মাবে। তাই কখনোই বাসন ঐ ভাবে বেসিনে ফেলে রাখবেন না। যদি অপরিষ্কার বাসন বেসিনে থাকে, তাহলে আগে বেসিন পরিষ্কার করতে হবে, তারপর বাসন ধুতে হবে।
৫. বাসন ধোয়ার পরে সেগুলো শুকনো কাপড়ে মুছে তবেই তুলতে হবে। এমন অভ্যাস অনেকেরই নেই। পানিসহ বাসন স্টিলের র্যাকে বা ক্যাবিনেটে তুলে রাখেন অনেকে। এতে বাসন খুব তাড়াতড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ